بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় ভাই প্রথমে আমার সালাম নেবেন । আশা করি ভালো আছেন । কারণ TipsTrickBD এর সাথে থাকলে সবাই ভালো থাকে । আর আপনাদের দোয়ায় আমি ও ভালো আছি । তাই আজ নিয়ে এলাম আপনাদের জন্য একদম নতুন একটা টপিক। আর কথা বাড়াবো না কাজের কথায় আসি ।

>১। আল্লাহ”-এর উপর
ঈমান ও আল্লাহ
তা’আলার উপর
ঈমান বলতে
মৌলিক ভাবে
তিনটি বিষয়
বিশ্বাস করা ও
মেনে নেয়াকে
বুঝায় ।
(ক) আল্লাহর সত্তা
ও তাঁর অস্তিত্বে
বিশ্বাস করা।
(খ) আল্লাহর
ছিফাত অর্থাৎ,
তাঁর গুণাবলীতে
বিশ্বাস করা।
আল্লাহর গুণাবলী
তাঁর গুণবাচক নাম
সমূহ ব্যক্ত হয়েছে।
(গ) তাওহীদ বা
আল্লাহর
একত্ববাদে
বিশ্বাস করা। এই
তাওহীদ বা একত্ব
আল্লাহর সত্তার
ক্ষেত্রে যেমন,
তাঁর গুণাবলী ও
ইবাদতের
ক্ষেত্রেও তেমনি
অর্থাৎ, আল্লাহর
সত্তা যেমন এক-
তাঁর সত্তায় কেউ
শরীক নেই,
তেমনিভাবে
তাঁর গুণাবলীতেও
কেউ শরীক নেই
এবং একমাত্র
তাঁরই ইবাদত
করতে হবে,
ইবাদতে তাঁর
সাথে কাউকে
শরীক করা
যাবেনা।
তাওহীদের
বিপরীত হল
শিরক। অতএব
একাধিক মা’বুদে
বিশ্বাস করা
শিরক। যেমন
অগ্নিপূজক সম্প্রদায়
কল্যাণের মাবুদ
হিসেবে
ইয়াযদান’ এবং
অকল্যাণের মা’বুদ
হিসেবে
‘আহরামান’-কে
বিশ্বাস করে।
এটা শির্ক।
এমনিভাবে
খৃষ্টানরা তিন
খোদা মানে।
হিন্দুগণ ব্রহ্মাকে
সৃষ্টিকর্তা,
বিষ্ণুকে
পালনকর্তা এবং
মহাদেবকে
সংহারকর্তা বলে
মানে; এভাবে
তারা একাধিক
ভগবানে
বিশ্বাসী। এ
ছাড়াও তারা বহু
দেবদেবীতে
বিশ্বাস করে,
এটা শিরুক।
এমনিভাবে
আল্লাহর
গুণাবলীতে কোন
সৃষ্টিকে শরীক
করা, যেমনঃ
মানুষের কোন
কল্যাণ সাধন
কিংবা বিপদ
মোচন ইত্যাদি
বিষয়ে কোন
সৃষ্টিকে
ক্ষমতাপ্রাপ্ত মনে
করা, এটা শির্ক!
এমনিভাবে
আল্লাহর সাথে
ইবাদতে কাউকে
শরীক করাও শিরক,
যেমন জলের
(অর্থাৎ, গঙ্গার)
সূর্যের, রামের,
যীশুর, দেবতার
ইত্যাদির পূজা
করা শিরক।
২। ফেরেশতা
সম্বন্ধে ঈমান
ফেরেশতা
সম্বন্ধে এই
বিশ্বাস করতে
হবে যে, আল্লাহ
এক প্রকার নূরের
মাখলুক সৃষ্টি
করেছেন, যারা
পুরুষও নয় নারীও
নয়। যারা কাম,
ক্রোধ, লোভ
ইত্যাদি রিপু
থেকে মুক্ত।
যারা নিস্পাপ।
আল্লাহর আদেশের
বিন্দুমাত্র
ব্যতিক্রম তারা
করে না। তারা
বিভিন্ন আকার
ধারণ করতে
পারে। তারা
সংখ্যায় অনেক ।
আল্লাহ তাদেরকে
বিপুল শক্তির
অধিকারী
বানিয়েছেন।
আল্লাহ তাদেরকে
সৃষ্টি করে
বিভিন্ন কাজে
লাগিয়ে
দিয়েছেন।
কতিপয় আযাবের
কাজে, কতিপয়’
রহমতের কাজে
নিযুক্ত আছে।
কতিপয় আমলনামা
লেখার কাজে
নিযুক্ত, তাদেরকে
“কিরামান
কাতিবীন” বলা
হয়। এমনিভাবে
সৃষ্টির বিভিন্ন
কাজে
ফেরেশতাদেরকে
আল্লাহ
নিয়োজিত করে
রেখেছেন।
ফেরেশতাদের
মধ্যে চারজন সর্ব
প্রধান। যথাঃ
(এক) জিব্রাইল
ফেরেশতাঃ
তিনি ওহী ও
আল্লাহর আদেশ বহন
করে নবীদের
নিকট আসতেন।
এছাড়া আল্লাহ
যখন যে নির্দেশ
প্রদান করেন তা
কর্তব্যরত
ফেরেশতার নিকট
পৌঁছান।
(দুই) মীকাঈল
ফেরেশতাঃ
তিনি মেঘ প্রস্তুত
করা ও বৃষ্টি বর্ষণ
এবং আল্লাহর
নির্দেশে
মাখলুকের
জীবিকা
সরবরাহের
দায়িত্বে
নিযুক্ত।
(তিন) ইসরাফীল
ফেরেশতা ?
তিনি রূহ সংরক্ষণ
ও সিঙ্গায় ফুৎকার
দিয়ে দুনিয়াকে
ভাঙ্গা ও গড়ার
কাজে নিযুক্ত!
(চার) আযরাঈল
ফেরেশতা ও
জীবের প্রাণ
হরণের কাজে
নিযুক্ত তিনি।
তাকে “মালাকুল
মউত’ও বলা হয় । রূহ
কবচ করার সময়
তাকে কারও
কাছে আসতে হয়
না বরং সারা
পৃথিবী একটি
গ্লোবের মত তার
সামনে অবস্থিত,
যার আয়ু শেষ হয়ে
যায় নিজ স্থানে
থেকেই তিনি
তার রূহ কবচ করে
নেন। তবে মৃত
ব্যক্তি নেককার
হলে রহমতের
ফেরেশতা আর
বদকার হলে
আযাবের
ফেরেশতা মৃতের
নিকট এসে
থাকেন এবং মৃত
ব্যক্তির রূহ নিয়ে
যান।
৩। নবী ও রাসূল
সম্বন্ধে ঈমানঃ
জিন ও ইনছানের
হেদায়েতের জন্য
আল্লাহ আসমান
থেকে যে
কিতাব প্রেরণ
করেন, সেই
কিতাবের ধারক
বাহক বানিয়ে,
সেই কিতাব
বুঝানো ও
ব্যাখ্যা দেয়ার
জন্য তথা আল্লাহর
বাণী হুবহু
পৌঁছে দেয়ার
জন্য এবং আমল করে
আদর্শ দেখানোর
জন্য আল্লাহ
নির্দিষ্ট সংখ্যক
মানুষকে সৃষ্টি
করেছেন এবং
জিন ও মানব
জাতির নিকট
তাঁদেরকে প্রেরণ
করেছেন।
তাঁদেরকে বলা
হয় নবী বা
পয়গম্বর। এই
নবীদের মধ্যে
বিশেষ ভাবে
যারা নতুন
কিতাব প্রাপ্ত
হয়েছেন
তাঁদেরকে বলা
হয় রাসূল, আর
যারা নতুন
কিতাব প্রাপ্ত
হননি বরং
পর্ববর্তী নবীর
কিতাব প্রচারের
দায়িত্ব পালন
করেছেন,
তাঁদেরকে শুধু
নবী। বলা হয়।
তবে সাধারণ
ভাবে নবী, রাসূল,
পয়গম্বর সব
শব্দগুলো একই
অর্থে ব্যবহৃত হয়ে
থাকে।
নবী ও রাসূলদের
প্রতি ঈমান
রাখার অর্থ হল
প্রধানতঃ
নিম্নোক্ত
বিষয়াবলীতে
বিশ্বাস রাখা।
১। নবীগণ
নিস্পাপ-তাঁদের
দ্বারা কোন
পাপ সংঘটিত
হয়না ।
২। নবীগণ মানুষ,
তাঁরা খোদা নন
বা খোদার পুত্র
নন বা খোদার
রূপান্তর (অবতার)
নন বরং তাঁরা
খোদার
প্রতিনিধি ও
নায়েব। আল্লাহর
বাণী অনুসারে
জিন ও মানুষ
জাতিকে
হেদায়েতের জন্য
তাঁরা দুনিয়াতে
প্রেরিত হন।
৩। নবীগণ আল্লাহর
বাণী হুবহু
পৌঁছে
দিয়েছেন।
৪। নবীদের
ছিলছিলা হযরত
আদম (আঃ) থেকে
শুরু করে আমাদের
নবী হযরত
মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর
উপর শেষ হয়েছে।
৫। আমাদের নবী
হযরত মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী
এবং তিনি
খাতামুন্নাবী
অর্থাৎ, তাঁর পর আর
কোন নবী আসবে
না। অন্য কেউ নবী
হওয়ার দাবী
করলে সে ভন্ড এবং
কাফের।
৬। নবীগণ কবরে
জীবিত। আমাদের
নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ও
কবরে জীবিত
আছেন। তাঁর
রওযায় সালাম
দেয়া হলে
তিনি শুনতে পান
এবং উত্তর প্রদান
করে থাকেন। অন্য
কোন স্থানে
থেকে নবীর
প্রতি দুরূদ সালাম
পাঠ করা হলে
নির্ধারিত
ফেরেশতারা
নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর
নিকট তা পৌঁছে
দেন।
৭। হযরত আদম (আঃ)
থেকে শুরু করে
হযরত মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
পর্যন্ত যত পয়গম্বর
এসেছেন, তাঁদের
সকলেই হক ও সত্য
পয়গম্বর ছিলেন,
সকলের প্রতিই
ঈমান রাখতে
হবে। তবে হযরত
মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর
আগমনের পর অন্য
নবীর শরী’আত
রহিত হয়ে
গিয়েছে, এখন শুধু
হযরত মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর
শরী’আত ও তাঁর
আনুগত্যই চলবে।
৮। নবীদের
দ্বারা তাঁদের
সত্যতা প্রমাণিত
করার জন্য অনেক
সময় অনেক
অলৌকিক ঘটনা
ঘটেছে। এসব
অলৌকিক
ঘটনাকে ‘মু’জিযা’
বলে। মু’জিযায়
বিশ্বাস করাও
ঈমানের অঙ্গীভূত।
৪। আল্লাহর
কিতাব সম্বন্ধে
ঈমানঃ
আল্লাহ তা’আলা
মানব ও জিন
জাতির
হেদায়েত এবং
দিক নির্দেশনার
জন্য নবীদের
মাধ্যমে তাঁর
বাণীসমূহ পৌছে
দিয়ে থাকেন।
এই বাণী ও আদেশ
নিষেধের
সমষ্টিকে বলা হয়
কিতাব। আল্লাহ
তা’আলা যত
কিতাব
দুনিয়াতে
পাঠিয়েছেন
তার মধ্যে
অনেকগুলো ছিল
সহীফা (পুস্তিকা)
অর্থাৎ, কয়েক
পাতার কিতাব।
এক বর্ণনা মতে
সর্বমোট ১০৪
খানা কিতাব
প্রেরণ করা হয়।
তন্মধ্যে
চারখানা হল বড়
কিতাব ।
যথাঃ (এক)
তাওরাত বা
তৌরীত ও যা
হযরত মূসা (আঃ)-এর
উপর নাযেল হয়।
(দুই) যবুরঃ যা
হযরত দাউদ (আঃ)-
এর উপর নাযেল হয়।
(তিন) ইঞ্জীলঃ
যা হযরত ঈসা
(আঃ)-এর উপর
নাযেল হয়।
উল্লেখ্য যে,
আলাহর প্রেরিত
আসল ইঞ্জীল
দুনিয়ার কোথাও
নেই। বর্তমানে
ইঞ্জীল বা
বাইবেল নামে
যে গ্রন্থ পাওয়া
যায় তা মূলতঃ
ঈসা (আঃ) কে
আল্লাহ তা’আলা
উধ্ব আকাশে
উঠিয়ে নেয়ার
বহু বৎসর পর কিছু
লোক রচনা ও
সংকলন করেছিল।
তারপর যুগে যুগে
বিভিন্ন পাদ্রী
ও খৃষ্টান পন্ডিতগণ
তাতে বহু
পরিবর্তন, পরিবর্ধন
ও সংযোজন
করেছে। ফলে
এটিকে কোন
ক্রমেই আর
আসমানী ইঞ্জীল
বলে মেনে
নেয়া যায়না
বরং এ হল মানুষের
মনগড়া, বিকৃত এবং
মানব রচিত
ইঞ্জীল-আসমানী
ইঞ্জীল নয়।
(চার) কুরআন ও যা
আমাদের নবী
হযরত মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর
উপর নাযিল হয়।
কুরআনকে আল-কুরআন,
আল-কিতাব, ফুরকান
এবং আল-ফুরকানও
বলা হয়।
* আল্লাহর কিতাব
বা আসমানী
কিতান সম্বন্ধে
ঈমান রাখার অর্থ
হল। প্রধানতঃ
নিম্নোক্ত
বিষয়গুলো
বিশ্বাস করা ।
১। এ সমস্ত কিতাব
আল্লাহর বাণী,
মানব রচিত নয়।
২। আল্লাহ যেমন
অবিনশ্বর ও
চিরন্তন, তাঁর
বাণীও তদ্রুপ
অবিনশ্বর ও
চিরন্তন। কুরআন
নশ্বর বা সৃষ্ট নয়।
৩। আসমানী
কিতাব সমূহের
মধ্যে কুরআন শরীফ
সর্বশ্রেষ্ঠ। কুরআন
শরীফ সর্বশেষ
কিতাব, এর পর আর
কোন কিতাব
নাযেল হবে
কিয়ামত পর্যন্ত
কুরআন শরীফের
বিধানই চলবে।
কুরআন শরীফের
মাধ্যমে অন্যান্য
আসমানী
কিতাবের
বিধান রহিত
হয়ে গিয়েছে!
৫। কুরআন শরীফের
হিফাজতের জন্য
আল্লাহ তা’আলা
ওয়াদা করেছেন,
কাজেই এর
পরিবর্তন কেউ
করতে পারবেনা।
কুরআন শরীফকে
সর্বদা অবিকৃত
বলে বিশ্বাস
করতে হবে।
৫। আখেরাত
সম্বন্ধে ঈমানঃ
আখেরাত বা
পরকাল সম্বন্ধে
বিশ্বাস করার
অর্থ হল মৃত্যুর পর
থেকে শুরু করে কবর
ও তার সাথে
সংশ্লিষ্ট বিষয়,
হাশর-নাশর ও
তার সাথে
সংশ্লিষ্ট বিষয়
এবং জান্নাত
জাহান্নাম ও
তার সাথে
সংশ্লিষ্ট বিষয়-
যেগুলো সম্পর্কে
ঈমান আনার
শিক্ষা দেয়া
হয়েছে তার সব
কিছুতেই বিশ্বাস
করা। অতএব এ
পর্যায়ে
মোটামুটি
ভাবে নিম্নোক্ত
বিষয়াবলীতে
বিশ্বাস রাখতে
হবে।
>
তাহলে ভাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন TipsTrickBD এর সাথে থাকুন।ধন্যবাদ ।
1 year ago (March 8, 2021)
|
274 Views
|